কনফিডেন্স সিমেন্ট দাম ২০২২ এবং কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবহার

বর্তমান বাংলাদেশের বহুল ব্যবহৃত সিলেট হলো কনফিডেন্স সিমেন্ট। বাংলাদেশের যে কয়েকটি সিমেন্ট কোম্পানি রয়েছে সবগুলো সিমেন্ট কোম্পানি বর্তমানে ভালো সিমেন্ট তৈরি করে থাকে। প্রত্যেকটি কোম্পানির দুই রকম সিমেন্ট উৎপাদন করে থাকে। তেমনভাবে কনফিডেন্স সিমেন্ট কোম্পানির দুই রকম সিমেন্ট তৈরি করে থাকে।
এই দুই রকম সিমেন্ট কিভাবে আপনারা ব্যবহার করবেন এবং কোন কাজে কোন সিমেন্ট ব্যবহার করা উচিত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাব আজকের এই আর্টিকেলে। বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত এবং মানসম্মত সিমেন্ট কনফিডেন্স সিমেন্ট। যেহেতু বর্তমান বাজার মূল্য অনেক বেশি উঠানামা করছে তাই নির্দিষ্ট কোনো দাম বলা ঠিক হবে না।
তবে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রত্যেকটি সিমেন্টের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু সিমেন্ট পরিবহন যোগ্য তাই বেচা-কেনার ক্ষেত্রে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সিমেন্ট পরিবহন করাতে প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
কনফিডেন্স সিমেন্ট কি কাজে ব্যবহার করা যায়? এমন প্রশ্ন আপনাদের সকলের মনেই রয়েছে। কনফিডেন্স সিমেন্ট সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি ভারী কাজ করার জন্য এবং অন্য সিমেন্ট নরমাল কাজ করার জন্য। এই দুই রকম সিমেন্ট আপনারা কিভাবে চিনবেন?
সিমেন্টে লিংক আর এর উপর ভিত্তি করে এই সিমেন্ট এর মান নির্ণয় করা হয়। যে সিমেন্টের ক্লিংকার এর পরিমাণ যত বেশি সেই সিমেন্ট তত বেশি দ্রুত জমাট বাঁধতে পারে। অর্থাৎ এই সিমেন্টের যত বেশি লিংকা রয়েছে সেই সিমেন্ট তত দ্রুত শক্ত হয়ে যাবে এবং ভারী কাজে ব্যবহার করা যাবে।
কি ধরনের ভারি কাজে কনফিডেন্স সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়? যে কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যাগ এর পরিমান ৮৯% অথবা এর বেশি থাকে সেই সিমেন্ট বিল্ডিং এর পিলার তৈরিতে এবং ছাদের কাজে অথবা সিঁড়ির কাজেও ব্যবহার করা যায়।
আর এক ধরনের কনফিডেন্স সিমেন্ট পাওয়া যায় যে সিমেন্ট ব্যাগ এর গায়ে লেখা থাকে ৫৯-৬৯% লিংকার। এই সিমেন্ট সাধারণত কাজে ব্যবহার করতে হয। সাধারণ কাজ বলতে আমরা এখানে পাঁচিল তৈরির কাজ অথবা ছোট ঘর তৈরীর কাজে এই পরিমাণ লিংক দিয়ে সিমেন্ট বানানো ব্যবহার করা যায়।
এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক কনফিডেন্স সিমেন্টের বাজার দর বর্তমানে কেমন। বিভিন্ন মান অনুসারে কনফিডেন্স সিমেন্ট বিক্রি হচ্ছে 520 থেকে 560 টাকা পর্যন্ত। তবে জায়গাভেদে সিমেন্টের দামের তারতম্য দেখা যেতে পারে। কেননা পরিবহন খরচ সিমেন্টের দাম এর সাথে যুক্ত করে সেটি বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়।