লোডশেডিং শিডিউল , এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং সময়সূচি দেখুন এখানে

বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে জ্বালানি সংকটের কারণে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সারা বিশ্বে জালালি সংকট দেখা দেওয়া এবং জ্বালানির অধিক মূল্যের কারণে অনেক দেশ জ্বালানি আমদানি করতে পারছে না। বাংলাদেশ সরকার ও জ্বালানি আমদানি করতে ব্যর্থ হচ্ছে তবে এ সংকট খুব দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে জানানো হয়েছে।
বর্তমান সময়ে ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া জ্বালানি সরবরাহ ঠিকভাবে করতে পারছে না। যার ফলে যে সকল দেশ রয়েছে আমদানির্ভর তারা সঠিক মূল্যে জ্বালানি ক্রয় করতে পারছে না। যার ফলে যথেষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই লোডশেডিং এর অন্যতম প্রধান সমস্যা বর্তমান সময়ে জ্বালানি সংকট বলা যেতে পারে।
যেহেতু দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো জ্বালানি নির্ভর তাই যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ডিজেল নির্ভর রয়েছে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন সামরিক অসুবিধার কারণে বন্ধ রাখবেন বলে জানানো যায়। এর ফলে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শিডিউল করে লোডশেডিং করা হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শিডিউল প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আপনারা যারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লোডশেডিং এর শিডিউল খোঁজ করছেন কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না তারা আমাদের আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনারা কিভাবে লোডশেডিং এর শিডিউল জানতে পারবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত বলতে। একই সাথে আরো বিস্তারিত জানাতে পারব কিভাবে আপনারা বিদ্যুৎ খরচ কম করবেন অর্থাৎ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং হবে
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে ব্যাপকভাবে। লোডশেডিং কমাতে হলে আমাদের সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে। আমরা কিভাবে লোডশেডিং কমাতে পারি অর্থাৎ বিদ্যুৎ খরচ কম করে সাশ্রয় করতে পারি সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিদর্শনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদেরকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ কোনভাবেই করা যাবে না। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ যে কোন সময় কম করলে তবে ঘাটতি মেটানো সম্ভব হতে পারে।
এছাড়াও সরকারি মন্ত্রণালয়ের যে সকল অফিস আদালত রয়েছে তাদের এসি ব্যবহার কম করার জন্য বলা হয়েছে একই সাথে সরকারের বিভিন্ন গাড়ির তেল খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে।
এখানে দেখুনঃ লোডশেডিং এর সকল জেলার তালিকা
আমরা যদি সকলে এ নির্দেশনা বলে মেনে চলতে পারি তাহলে অবশ্যই আমরা এশঙ্কর থেকে অতি দ্রুত বের হয়ে আসতে পারবো। যেহেতু দেশের অধিকাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো ডিজেল নির্ভর সেহেতু সেই ডিজেল নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
বর্তমান সময়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলো গ্যাস নির্ভর রয়েছে সেগুলো সচল রাখা হবে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায় যে ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাটতি রয়েছে।
এর কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিডিউল করে লোডশেডিং করা হবে। কোন কোন অঞ্চলে দুই ঘন্টা লোডশেডিং করা হবে আবার অনেক অঞ্চলে এক ঘন্টা লোডশেডিং শিডিউল করে দেওয়া হবে।